সোনার বাংলা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সব ধর্মের মর্ম কথা মানবতার জয়গান।
ধর্মনিরপেক্ষ এই দেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী প্রজন্মের কাছে শান্তি ও সম্প্রীতির বিশ্ব তুলে দিতে আমাদের একযোগে কাজ করে যেতে হবে। ’
শনিবার রাজধানী বনানী মাঠ পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।এ সময় স্পিকার দুর্গাষষ্ঠীর শুভ উদ্বোধন করেন এবং ভক্তগণের দর্শনের জন্য প্রতিমার পর্দা অবমুক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, এফবিসিসিআই এর সভাপতি জসিম উদ্দিন, বনানী সোসাইটির সভাপতি শওকত আলী ভূঁইয়া দিলন, গুলশান সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ, গুলশান-বনানী সর্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশনের সভাপতি পান্না লাল দত্ত এবং সাধারণ সম্পাদক প্রাণ কৃষ্ণ ঘোষ বক্তব্য দেন।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমগ্র রাজনৈতিক জীবনের দর্শনই ছিল অসাম্প্রদায়িকতা এবং মানবতাবাদ। ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন তিনি আজীবন লালন করেছেন। তাই আমাদের সংবিধানে সব ধর্মাবলম্বী মানুষের জন্য সমান সুযোগ ও অধিকার রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, আবহমান বাংলার চিরায়ত বৈশিষ্ট্যই হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই সোনার বাংলায় যেকোনো ধর্মীয় উৎসব সমগ্র দেশ ও জাতিকে এক অপূর্ব মেলবন্ধনে আবদ্ধ করে এবং তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটে সব ধর্মের বিভিন্ন উৎসবে।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বের করে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করে উন্নয়নশীল দেশ হতে উন্নত দেশের কাতারে উন্নত করার লক্ষ্যেই সবাইকে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে গুলশান ও বনানী সোসাইটির সদস্য, গুলশান-বনানী সর্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশনের সদস্য, শিল্পী, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আগত ভক্ত, বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।